হৃদয়-জাকির ঝড়ে উড়ে গেল সাকিবের বরিশাল

ব্যাট হাতে বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই ঝড় তুলে মাত্র ২৬ বলেই ফিফটি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক। সাকিবের এই ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ফরচুন বরিশাল। অর্থাৎ জিততে হলে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে করতে হবে ১৯৫।

তবে সিলেটের তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্লান হয় সাকিবের অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত সিলেট জিতে নিয়েছে ৬ উইকেটে, এক ওভার হাতে রেখেই।

সিলেটের হয়ে ওপেন করতে নেমে শুরুতে হতাশ করেন আকারম্যান। দুই বল খেলে ১ রানে আউট হয়ে যান ডাচ ওপেনার। তিন নম্বরে খেলতে আসা তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ভালোভাবেই শুরুর ধাক্কা সামাল দেন নাজমুল শান্ত। দুজনে গড়েন শতরানের জুটি।

শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪৮ রান করে রানআউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। তবে, শান্ত আউট হলেও মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ন হয়ে অর্ধশতক তুলে নেন তৌহিদ হৃদয়। আফগান পেসার করিম জানাতের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৭ চার ও এক ছয়ে ৫৫ রান করেন এ তরুণ।

তবে, চার নম্বরে নামা জাকির হাসান ও পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম রীতিমতো তাণ্ডব চালান বরিশালের বোলারদের উপর। মাত্র ১৭ বলে এই জুটির সংগ্রহ ৩৮ রান। ইনিংসের ১৮ তম ওভারে আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

শেষ দুই ওভারে সিলেটের দরকার ১৯ রান। উইকেটে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরা। ১৯ তম ওভারে বল করতে আসেন খালেদ আহমেদ। ওই ওভারের প্রথম বলে দুই, দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় বলে একরান নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইক দেন থিসারা। ওই ওভারের বাকি চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে আবারও থিসারাকে স্ট্রাইক দেন মুশফিক। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে পর পর দুটি ছক্কা হাকিয়ে এক ওভার ও ৬ উইকেট হাতে রেখে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯ বল খেলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ২৩ রান করে।

মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় বরিশাল। শুরু থেকেই মারমুখী চেহারায় ছিল দলটি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই তোলে ৫৪ রান। চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২৫ বলে ৩৬ আর এনামুল হক বিজয় ২১ বলে খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।

ইফতিখার আহমেদ ১০ বলে ১৩, মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৯ আর হায়দার আলি ৬ বলে ৩ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন।

তবে সাকিব খেলেছেন চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। করিম জানাত ১২ বলে করেন অপরাজিত ১৭ রান।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের সফলতম বোলার ছিলেন মাশরাফি। তবে ৩ উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে, ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান।


সর্বশেষ সংবাদ